Friday, November 3, 2017

Dhaka –Kolkata –Digha-Sankharpur Delta-Kolkata- Dhaka


  Duration: 6 day 6 night 
https://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1186694661504928726#editor/target=post;postID=6176689041956133367

Tour Iteianary
Day
Activities
Note / Enlisted
Day 01
  • 9:30PM   at Pantha path  Shohag counter /or any
  • Overnight Journey

  • Shohug Bus,
  • Shyamoli  Premium
  • Green Line  Volvo,
  • Suhardo  may change
If Hertal or any problem
Day 02
Ø      Arrival at  Benapole & Petra pole   
Ø      Breakfast at Bangladesh side and custom form fill up  by Real touch staff
Ø      Boarder  formalities and transfer to India
Ø      Haridaspur India custom formalities
Ø      Journey  start to  Kolkata by AC Bus
Ø      Lunch at Barasat Hi-way : Rice + veg + Fish +dal
Ø      Hotel check In by 2 Pm
Ø      Shopping at New Market & Hag Market
Ø      Evening Free  / Self dinner
Ø      Over night Kolkata Hotel
Enlisted Hotel at Kolkata.
*Ruposi Bangla Sheraton 5*
*The Peerless Inn  5*
*The Pearl Hotel 4*
**VIP Kolkata 4*
**YMCA Guest House
Wilson Radisson Blue 4*
* Afreen Lodge 2*
* Rumpa Suites 2*
** Hotel Maria 1*

Trabsport :
Shohag Premie
Green line AC Volvo 
Papia Indian Volvo Coach 

Day 03
Ø      6;30 Walk to Victoria memorial,
Ø      Tata park & Maydan  (horse ride-self)
Ø      7:30 Back hotel
Ø      8:00 Breakfast : 4 Ruti +Half Tarka +  1 omelet
Ø      8:30: Going to mother Teresa House (prayer)  
Ø      11:00  Check out Hotel
Ø      12:00 Ride  deluX Bus 
Ø      2:30 Lunch at Holdia River: rich + chicken + vazi + dal.
Ø      4;30 Hotel check In
Ø      6:30 Beach. sand walk
Ø      8:30 Dinner- Ma Nardoerma Hotel: Rice Pomplate(Rupchada) + Crab  ( boro kakra mosla)+ bringer fry
Ø      Night party: masti by (Real Touch)
Ø      Overnight at Hotel Digha

Transport :
Snemita Parisheba Relax Air-con (16 seat Bus )

Hotel: Hotel Rubina  4*

 Hotel  Carol 2*

  Sea Gull 4*

Venus Guest House Golden see queen Resort
OYO Hotels 

Day 04
Ø      6;30 Visit to Delta to watch Sunrise
Ø      Morning food with Alour doom +dim +Luchi  at Mohona fish jetty 5KM from Digha . bye fish for lunch
Ø      Back to hotel by 10;30  lazy time
Ø      11:30 Beach bath
Ø      2;30 Lunch ,  Rice, Sea fish fry, sea fish gravy , potato mash , sutki vazi, Dal  
Ø      4pm start for  Shankar pur ( Red Crab delta)
Ø      Visit Kazu badam forest
Ø      Visit Aqua mineral
Ø      Visit Amrabati Garden  
Ø      Seat at beach in the dark night.
Ø      Dinner :  Luci and Shahi Porata, pather meat, dom +cocktail
Night stay at Digha

Transport:



Digha duranto 
Paharia express
Day 5
Ø      Breakfast
Ø      9 AM  start for Kolkata by train
Ø      Check In Hotel at Kolkata by 1 pm
Ø      2 pm Lunch : 
Ø      3PM Shoping
Ø      9pm dinner
Ø      Night party


Day 6
Ø      7 am start for Chit pur for Bangladesh train.
Lunch at Train Palou + Roost 
Ø      6pm Dhaka arrive say good bye
Kolkata - Dhaka Train
Maitri Express 

 



Including:
v     Indian Mobile shim.
*v     All food  in India
v     All transport.
v     All Hotels twin base
v     Full time guide
v     Parties / 2 cocktail
v     Visa Support
v     Custom support
v     Medical support on emergency 
v     Dollar endosement 
v     Sight seeing all mention; 




Rate:
Adult: BDT 23000/=
Couple: BDT 42000/=
Children: BDT 18000/=
Children Under 3 -BDT 3400/=


Tarms and condition 
1. Booking Money : 6000/= per person
2. Rest money 15 days preier travel
3. Any illegial RTT doesnot allow or take credit.
4. Custom support with regal papers.





Not including :
Smoking
Travel tax (200/)
Visa fee (500/=)
Private marketing
Non mention above  





Contract to
Real Touch Tourism          01787584191 

Thursday, October 26, 2017

Dhaka –Agartala – Udaypur-Mizoram

  Dhaka –Agartala – Udaypur-Mizoram
Duration: 4 day 3 night
Tour Itinerary:
Day 1:Dhaka to Agartala , All formalities in the boarder, Cross the boarder, Hotel check in, Lunch Aveshek Restaurant ,Sightseeing: Ujjayanta Palace, Mariyam Nagar Church, Rose Valley Amusement Park Tripura Government Museum, Sukanta Academy, Jagannath TempleLakshmi Narayan Temple, Shopping, Dinner road side normal hotel, Night stay at Hotel Wood Land ***/ Similar
Day2: 6;30 Am Start for  Aizawl capital of Mizoram by luxury bus 6/7 hours by bus 300 km, Breakfast on the way , Hotel check in, taking bath and refreshment, Lunch 3; 30 PM (depends on road condition), Sight seeing: Tlawng River. City different places Chaltlang
Presbyterian Church, hike hill top, Shopping Evening: shopping at new market, 3d movie, Dinner, Night hold at Hotel Chawlhna**
Aizawl is the largest city as well as the capital of the state of Mizoram in India. The City is located north of the Tropic of Cancer in the northern part of Mizoram and is situated on ridge 1132 meters (3715 ft) above sea level, with the Tlawng river valley to its west and the Trivial River valley to its east.

Day 3: Breakfast Start for UDAIPUR,Reach Udaypur by super deluxe bus 6 hours, Lunch, Visit; Dhani Sagar, Amar Sagar, Sundary Temple, Marketing, Prize giving party,Night pass at Paras Mohal resort / similar
Udaypur: (উদয়পুর) It is town of beauty. No one understands the beauty of Udaypur. It is an urban in the of Tripura state. This city is famous for the temple Sundary. It is also the head-quarters of the district Gomaati. Most attraction of the town is artificial lakes such as Dhani Sagar, Amar Sagar Mahadev Dighi, Jaganath Dighi. Udaipur is the 2nd largest town of Tripura on the bank of Gumati River
Day 4:  Breakfast, Start for Agartala, Lunch at Agartala, Free time
Back to Dhaka night service Train
Day 5: Morning arrived and say Hi and bye
Rates:
Ø     General: BDT 10500. (Tenthousand five hundred only)
Ø     Deluxe: BDT 14500 (Twelve thousand only)
Ø     Super luxury: BDT 23,000 (Twenty three thousand only)
…………….
Real 
Touch 
Tourism 
01787584191, 01720398961


Package inclusive
v   Accommodation on twin sharing basis/ single.
v   Air-conditioned Transportation
v   Services of Guide during sightseeing
v   Full time assistance by our Bengali guide
v  Border formalities and customs
v  Visa Assistance
v  All foods  & All resort and hotels

Conditions:

v    2nd Instilment has to pay 15 days before travel date.  
v    . For any reason extension of each day travelers will pay INR. 1400 each day. 
v    For any accident Real Touch will not liable.
v    For any personal lost traveler will not blame Real touch. 
v    Package tour will be started if minimum 8 peoples are in the group.
If 3 person from the same family 10% off. 
v    At the time of return to Dhaka guide service will not be provided after border but provide ticket.  
v    Booking confirmed after paying 50% of the rates.
v    Mizoram trips may shift if Indian military divert. 

v    Tour date and schedule may be changed due to non availability of Train/ Bus ticket, any kind of natural disaster or hertal.

Tuesday, September 26, 2017

কোয়েল পালন

কোয়েল পালন
**বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রজাতি। গৃহপালিত ছোট আকারের খামারের জন্য কোয়েল পালনে তেমন কোন ঘরের প্রয়োজন নাই । কবুতরের মতো নির্দিষ্ট ঘর যেমন প্রয়োজন হয় না  বা জোড়া বাঁদঅর জন্য।আবার মুরগির মতো খুব বড় আকারের খামারেরও প্রয়োজন নেই। যে বাজেটে  কোয়েল পালন করা যেতে পারে। আজকাল ছোট বড় অনেক কোয়েল খামার গড়ে উঠেছে।

** মিশরীয়রা প্রখমে খাদ্য হিসেবে শুরু করলেও কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে। সবর্প্রথম জাপানী বিজ্ঞানীরা কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি হিসেবে পোষ মানায়। পরবর্তীতে এশিয়অ  সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোয়েল পালন করার  তেমন কোন খরচ হয় না। কোয়েলকে আতি সহজেই পোষ মানে।
***বাড়ির যেকোন কোণ স্থানে কানাচ বা উঠান অথবা পাকা বাড়ির ছাদ ইত্যাদি জায়গাতেও কোয়েল পালন করা যায়। এই কারণে বতর্মানে, শহরে কী গ্রামে সব স্থানে কোয়েল পালন ব্যাপকতর সহজ হয়েছে। গৃহপালিত পাখির মধ্যে  এই পাখির আয়তন খুব বেশি নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ কোয়েলের ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
***১টি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ৮-১০ টি কোয়েল পালন করা যায়।
*** এটা অতি সহজেই প্রমাণিত যে বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য সবর্ধিক উপযোগি। এই কারণে, বিভিন্ন হাঁস মুরগির খামারেও ইদানিং কোয়েল পালন বেশ সাড়া জাগিয়েছে। দেশের পুষ্টি মিটিয়ে ইদানিং কোয়েলের মাংস বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে।

*** কোয়েলের মাংস অতিথী পাখির মাংসের মতই স্বাদ ও মজাদার। কোয়েলের ডিমে পয়ার্প্ত পরিমাণ আমিষ, প্রোটিন ভিটামিন ও  স্নেহজাতীয় পদার্থ বিদ্যমান। বিশেষ করে কোয়েলের একটি ক্ষুদ্র ডিমে যে পরিমাণ প্রেটিন রয়েছে একটি বড়ো আকারের মুরগির ডিমেও একই পরিমাণ প্রোটিন আছে ভেবে দেখুন একটি মুরগির ডিমের দামে চারটি/পাঁচটি কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়। এই কারণে, ধনী- গরীব সকল দেশের সকলে অবাদে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। 
*** আমাদের বাংলাদেশে কোয়েল পাখি এখনও প্রথম শ্রেণীর পল্টির তালকায় পরে তবে আশার কথা, আমাদের দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে ইদানিং কোয়েল পালনে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন অনেকেই।
ঢাকা শহরের বঙ্গবাজার এলাকার পোল্ট্রি মার্কেটে কোয়েলের ডিম, বাচ্চা এবং পরিণত কোয়েল বা প্যারেন্টস  কোয়েল কিনতে পাওয়া যায়। এছারা কাপ্তান বাজার, টঙ্গি বাজার, কাটাবন মার্কেটে সহ বেশ কিছু জায়গায় কোয়েলের সামগ্রী ও কোয়েল পাওয়া যায়।

সরকারের সহায্য পেলে কোয়েলের খামার করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন ও মাংস এবং ডিম বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা ও  চমকপদ  মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

কোয়েলের জাত বা বংশ
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কোয়েলের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় জাপানি কোয়েলকে। আমাদের জানা মতে জাপানেরই কোয়েল পালনে সবর্প্রথম গৃহপালিত করা গৌরব অর্জিত হয়েছে।
কোয়েলের কয়েকটি জাত নিম্নরূপ-
ব্রয়লার কোয়েলঃ মুরগির মতো কোয়েলের মধ্যে ব্রয়লার জাতের কোয়েল আছে। এদের পালন করা হয় মাংসের জন্য্ । উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মাংসের কোয়ের হল: এদের মাত্র ৪৫-৫০দিন পালন করা হয়।                                                                                           আমেরিকান বব হোয়াইট কোয়েল,                                                                                                                                 হিন্দুস্থান স্বেত বা ইন্ডিয়ান হোয়াইট,                                                                      ব্রেস্টেড কোয়েল
লেয়ার কোয়েলঃ মুরগির মতো কোয়েলের মধ্যেও লেয়ার জাত বিদ্যমান। এই জাতের কোয়েলকে শুধু ডিম উৎপাদন ও বংশ বিস্তারের জন্য পালন করা হয়।
লেয়ার জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বংস হলো:                                                                                                               ফারাও,                                                                                                                                                          ইংলিশ হোয়াইট,                                                                                                                                                  ম্যানচিরিয়াল গোল্ডেন,                                                                                                                                           ব্রিটিশ রেঞ্জ
একটি পূর্ণবয়স্ক কোয়েল সবার্ধিক বছর বেঁচে থাকে। একটি নারি কয়েল জীবনদশায় অন্ততপক্ষে  ৭৫০ থেকে অনাধিক ১৩০০ ডিম প্রদান করে থাকে।

কোয়েলের ডিম:
ডিমের ওজন: থাকে শুধুমাত্র কিছু প্রজাতির কোয়েল সাদা রংয়ের ডিম পাড়ে। তাছাড়া বেশির ভাগ কোয়েলের ডিম বাদামী এবং গায়ে ফোঁটা ফোঁটা দাগ আছে। থেকে ১৫ গ্রাম। ডিমের ওজন স্ত্রী কোয়েলের দৈহিক ওজনের %                                               ডিমের রং: কোয়েলের ডিম দেখতে খুব সুন্দর বাহারি ছিটেফোটা । ডিমের খোসার ওপর নীলচে, বেগুনীয়া, খয়েরি এবং কালো পাঁচমিশালী রঙ্গের ছোট ছোট ফোটা বা ছিটা ফোটা দাগ থাকে।
বংস বিস্তার: কোয়েলের প্রতিটি ডিমই হতে পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা আশা করা যায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম থেকেই একটি বাচ্চা ফুটতে পারে। তবে বাচ্চা ফোটার জন্য ডিম তৈরি করতে হলে একটি পুরষ কোয়েলের সাথে তিনটি স্ত্রী কোয়েলকে কিছুদিন একসাথে রাখতে হবে। কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটর মেশিন ব্যবহার করা হয়। যাদের ইনকিউবেটরন নেই সেই ক্ষেত্রে আমরা দেশি ছোট মুরগির  দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে থাকি। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৭ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে। তবে বাচ্চা ফোটার পরই সেগুলো পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। কারণ, কোয়েলের বাচ্চা খুবই সংবেদনশীল। এরা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ দিন সময় নেয়। এই সময়টাতে বাচ্চার প্রতি অতিরিক্ত যত্নবান হওয়া একান্ত আবশ্যক। এইসময় বাচ্চাকে ব্রুডিং ঘরে নিয়ে যাওয়া ভাল। কারণ, সেই সময় কৃতিম উত্তাপ প্রয়োজন হয় বাচ্চার। ব্রুডিং পদ্ধতিতে বাচ্চার শরীর সেই সময় গরম করতে হয়।

কোয়েলের বাসস্থান 
 কোয়েলের বাসস্থান যাতে প্রয়োজন মতন আলো বাতাসের মধ্যে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখখতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে-বৃষ্টির পানি বা অন্য কোন তরলপদার্থ দ্বারা কোয়েলের খাঁচা ভিঁজে না যায়।

খাঁচায় কোয়েল পালন করা সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। একটি খাঁচার ওপর আরেকটি খাঁচা এভাবে অল্প জায়গাতে অনেকগুলো খাঁচা তৈরী করে কোয়েল পালন করা যায়।
আদর্শঃমাপ
** ১৩০:৬০:৩০ সেমি: দৈর্ঘ্য: প্রস্থ:উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচায় কমপক্ষে ৬০টি কোয়েল পালন করা যায়।
** ১৫০:১০০:৪৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য:প্রস্থ:উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচায় কমপক্ষে ৯০টি কোয়েল পালন করা যায়।
** কোয়েলের খাচায় ব্যবহৃত জালের ফাকগুলো একটু ঘন হতে হবে। যাতে করে কোয়েলের মুখ বা গলা সেই ফাক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে না আসে।
** বাচ্চা রাখার খাঁচাসহ / বয়স্ক কোয়েলের খাঁচাগুলোতে যেন বেজি, কাঠবিড়ালী, ইদুর ইত্যাদি না প্রবেশ করতে না পারে, সেইভাবে খাঁচার শিকের ফাঁক বানাতে হবে।
***
কোয়েলের বাচ্চা পালনের সময় একটি অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। এই সময় বাচ্চাকে ব্রুডিং এর ব্যবস্থা করতে হয়। বাচ্চার বয়স ১৫ থেকে ২০ দিন কৃত্রিম উত্তাপের মাধ্যমে এই ব্রুডিং এর ব্যবস্থা করতে হয়। কারণ, ডিম থেকে ফোটার পর বাচ্চা উক্ত সময় স্পর্শকাতর এবং লালাভূলা থাকে। এই সময় বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় ক্যালোরিযুক্ত খাবারও দিতে হয়।
**সদ্যজাত বাচ্চা ক্যালোরির অভাবে শরীর ঠান্ডা হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে পারে।

সাধারণভাবে বাচ্চা ফুটলে সেগুলোকে আলাদা খাঁচায় স্থানান্তর করা উচিত। কারণ, তাহেল বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় ব্রুডিং এর ব্যবস্থা করা সম্ভবপর হয়ে থাকে। মুরগির বাচ্চার মতো একই পদ্ধতিতে কোয়েলের বাচ্চাকে ব্রুডিং বা কৃত্রিম তাপ প্রদান করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বড়ো আকারের কোয়েলের খামারে বাচ্চা রাখার জন্য আলাদা ব্রুডার খাঁচা তৈরি করা হয়ে থাকে। যাতে করে বাচ্চা ডিম ফুটে বের হবার প্রায় সাথে সাথে সেই খাঁচায় বাচ্চা স্থানান্তর করা যায়।

মোটামুটিভাবে কোয়েল পালনের জন্য এই ধরণের বাড়তি যত্ন আর বাসস্থান প্রয়োজন হয়। তবে হিসেব করে দেখা গেছে ১০০০টি মুরগির জন্য যে ধরনের ব্যাপক বাসস্থানের প্রয়োজন হয়-সেই ধরনের জায়গায় কমপক্ষে ৮০০০ থেকে ১০০০০ কোয়েল পালন করা সম্ভবপর হয়ে থাকে।

কোয়েল পালনের সুবিধা সমূহ 
কোয়েল পালনের বিভিন্ন সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো। 

(
) সাধারণত একটি ভাল জাতের কোয়েল বছরে ২০০ থেকে ২৫০টি ডিম প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে। অনেক লেখক ৩০০ ডিমের কথা উল্লেক করে থাকেন। বাস্তবে তা সম্বভ নয় । তারা হুজুকে বাঙালী নেট থেকে পরে বাঙলা করে চালিয়ে দেয়    কিন্তু আমাদের দেশে সম্বভ নয়। প্রায় প্রতিটি ডিম থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা ৪৫ দিনে বা ৬ থেকে সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়। পাশাপাশি ডিম দেয়া শুরু করতে পারে।

(
) অত্যন্ত কম পুজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়।
() কোয়েল দিনে মাত্র ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার দিলেই এরা এদের শারীরিক চাহিদা মিটাতে পারে।

(
) কোয়েলের আকার ক্ষুদ্র বলে এদের লালন পালনের জন্য বিস্তৃত জায়গা প্রয়োজন হয় না। ছোট আকারের একটি খাচাতেই কোয়েল পালন করা যায়। একটি মুরগির জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হয়। সেই একই জায়গা কমপক্ষে ৮টি কোয়েল পালন করা যায়। 

(
) খুবই অল্প সময়ের মধ্যে একটি বাচ্চা কোয়েল ডিম দিয়ে থাকে। সাধারণত ৪০-৪৫ দিনে এরা ডিম পাড়া শুরু করে। বা   থেকে সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল ডিম প্রদান করে থাকে।
(
) রোগ ব্যাধির দিকে থেকে কোয়েল খুবই লাভজনক বিনিয়োগ। কারণ, কোয়েলের রোগ ব্যাধি প্রায় হয় না বললেই চলে। তিাই এদের কোন টিকা দরকার হয় না। 
(
) একটি পরিণত বয়সের কোয়েল বছরে ২০০- ২৫০টি ডিম প্রদান করতে পারে। সেই হিসেবে একটি কোয়েলের পেছনে যে ২ মাস থেকে লাভ আসতে শুরু করে। এত কম সময়ে অন্য কোন পাখি ডিম পারে না।

(
) কোয়েলের ডিম থেকে  ১৮/১৯ দিনের মধ্যেই বাচ্চা ফুটে বের হয়। এই বাচ্চা পরিণত কোয়েলে রূপান্তরিত হতে সময় লাগে ৪০/৪৫ দিন বা ৬ থেকে সপ্তাহ।

(
) কোযেলের মাংসে ফেটের পরিমাণ খুব কম বলে যে কোন রোগীর পথ্য হিসেবে কোয়েলের মাংস ব্যবহৃত হতে পারে।

১০) এদের ডিম পুষ্টিকর। পুষ্টিমানের দিক থেকে মুরগির ডিমের সমমানের।


কিভাবে কোয়েলের নর/ মাদি চিনবেন????

নর কোয়েলঃ
সাধারণত পুরুষ কোয়েলের গলার নিচে সমান্তরাল বাদামী রঙয়ের হয়ে থাকে।এতে কাল ফোটা ফোটা ছোপ থাকেনা
Image result for নর কোয়েল চিত্র  Image result for নর কোয়েল চিত্র
মাদি কোয়েলঃ
মহিলা কোয়েলের গলার নিচে বুকে কাল কাল ফোটার মত ছোপ ছোপ থাকে
উপরের ছবি তে নর মাদি কোয়েল চেনার উপায় ছবি দেখে নিন

কোয়েলের খাদ্য বা খাবার ব্যবস্থা  কোয়েলের জন্য আলাদা তেমন কোন সুষম খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবার পর কিছুটা বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হয়। এইসময় কোয়েলের বাচ্চাকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হয়।

সাধারণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কোয়েল দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার গ্রহণ করতে পারে। সাধারণভাবে হাঁস মুরগির যে খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার মধ্যেই এই ধরনের আমিষ এবং ক্যালোরি বিদ্যমান। হাস মুরগির জন্য যে খাবার আনা হয় তার থেকেও খাবার প্রদান করে কোয়েল পালন করা যায়।
কোয়েল খুব ঘন ঘন পানি পান করে। তাই কোয়েলের খাচায় পানির ব্যবস্তা খাকতে হবে। যাতে পানির পাত্র উপচে বা উল্টে পড়ে কোয়েলের গা ভিজে না যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।।

কোয়েলের স্বাস্থ্য রক্ষা ককুতর, টার্কি বা তিতিরের মতো কোয়েলেরও তেমন কোন রোগ ব্যাধি নেই বললেই চলে। তবে মাঝে মাঝে কোয়েলকে রোগক্রান্ত হতে ধেখা যায়। কোয়েল রোগাক্রান্ত হলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
কোন কোয়েল অসুস্থ হলে সাথে সাথে তাকে সুস্থ কোয়েলের খাঁচা থেকে সরাতে হবে। অসুস্থ্য কোয়েল থেকে বাকি সুস্থ কোয়েলও আক্রান্ত হতে পারে।

খাঁচায় কোন কোয়েল মারা গেলে সাথে সাথে তার কারণ খুঁজে তার প্রতিকার করতে হবে। মরা কোয়েল পুড়িয়ে বা পুতে পেলতে হবে।
কোয়েলের একটি রোগ হল আমাশয় এই রোগ হলে কোয়েলের ঘন ঘন পায়খানা হয়, খাবার গ্রহনে অনীহা দেখা দেয় এবং কোয়েলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এমাডিস বা এম্বাজিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে। 
লেখক: আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক, বংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটতাঁর মতে সুষ্ঠুভাবে কোয়েল পালন করতে হলে তাদের থাকার জায়গা বা বাসস্থান, খাবার জায়গা ইত্যাদি স্থানগুলো শুকনা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সুষমত খাদ্যের সরবরাহ রাখতে হবে। তবেই কোয়েল পালন করে তার মাংস ডিম উৎপাদনে সঠিক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

বংশ বিস্তার কোয়েলের বয়স ৬৫ দিন হলে তারা বছরের প্রায় সব সময়ডিম উৎপাদন করে থাকে। স্ত্রী কোয়েল প্রতি ১৬ থেকে ২৪ ঘন্টায় ১টা করে ডিম পাড়ে। মাসে একটি মহিলা কোয়েল ৩৬টি ডিম দিয়ে থাকে। টানা ১২ মাস তাদের ডিম পাড়া অব্যাহত থাকে। শুধুমাত্র ডিম ফুটাতে চাইলে স্ত্রী কোয়েল প্রতিপালন অধিক লাভজনক। ডিমের উরবরতা ভালেঅ পেতে হলে :, : বা ১০: অনুপাতে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখতে হবে। যাতে তারা মিলন করতে পারে । মিলনের ৩য় দিন দিন থেকে যে আসবে তা থেকে বাচ্চা আসবে।তবে অর্থনৈতিক দিক দিক বিবেচনা করে৫: অনুপাত অপেক্ষাকৃত ভাল
 স্ত্রী কোয়েলের সাথে পুরুষ কোয়েল রাখায় ৩/৪ দিন পর থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করা উচিত
স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কোয়েল - সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। -১০ সপ্তাহ বয়সে ৫০% ডিম পাড়ে এবং ১২ সপ্তাহের পর থেকে ৮০% ডিম পাড়ে। উপযুক্ত পরিবেশে প্রথম বছর গড়ে ২০০-২৫০টি ডিম  ডিমের ফার্টিলিটি শতকরা ৮৫-৮৭ %। ৪৪০ দিন বা ৬০ সপ্তাহের অধিক বয়সের কোয়েলের ডিমের  ফোটার হার কম। কোয়েলের ডিমের গড় ওজন ১০-১২ গ্রাম এবং গড়ে সারা বছর শতকরা ৬০ ভাগ ডিম দেয়। কোয়েল এক বাণিজ্যিক বছরের অধিককাল পালন করা উচিত নয় কারণ তখন ডিম উৎপাদন খুবই কমে যায়। আন্তঃপ্রজনন যাতে না হয় সেজন্য নিকট সমপর্কযুক্ত কোয়েলের মধ্যে প্রজনন করানো
ইনকিউবেটরে বসানোর আগে ডিমের যত্ন দিনে অন্তত দু'বার ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করতে হবে এবং ১৫.৫০ সে তাপমাত্রায় ৮০% আর্দ্রতায় -১০ দিন সংরক্ষণের জন্য ২০ মিনিট ফরমালডিহাইড গ্যাসে রাখতে হবে। কোয়েলের ডিমের খোসা ভাঙ্গার প্রবণতা বেশি থাকায় ডিম অত্যন্ত সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হয়। ডিম দূষিত হওয়ার প্রধান উৎস এবং রোগ বিস্তারের মুখ্য কারণ হচ্ছে ময়লাযুক্ত ইনকিউবেটর অথবা হ্যাচারী এলাকা প্রতিবার ব্যবহারের পর প্রতিটি হ্যাচিং ইউনিট ভালভাবে ধৌত করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বাজারে যে সমস্ত উন্নতমানের জীবাণুনাশক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে। ময়লাযুক্ত ডিম রোগ জীবাণুর প্রধান উৎস। পরিষ্কার-পরিচছন্ন ডিম বসাতে হবে। বাচ্চা ফুটানোর ডিম কখনও ধোয়া উচিত নয়। ডিম সংগ্রহ করার পর ডিম ফিউমিগেশন করা উচিত অথবা বিকল্প ইনকিউবেটরে ডিম বসানোর ১২ ঘন্টার মধ্যে ফিউমিগেশন করা উচিত।

কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো স্বাভাবিক নিয়মে ১৭-১৮ দিনে উপযুক্ত পরিবেশে ডিম হতে বাচ্চা ফুটে। অবশ্য তা প্রজাতি বা ইনকিউবেশন পদ্ধতির উপরও নির্ভর করে। বাণিজ্যিক কোয়েল ডিমে তা দেয় না। ফলে এদের দিয়ে বাচ্চা ফোটানো সম্ভব নয়। কোয়েলের ডিম সাধারণত কৃত্রিম উপায়ে ইনকুবেটর দিয়ে ফোটানো হয়। সফলভাবে বাচ্চা ফোটানোর হার বেশি পেতে হলে ইনকিউবেটর নির্মাতার নির্দেশ সতর্কতার সাথে পালন করতে হবে। ইনকুবেটরের কিছু কিছু মডেল শুধুমাত্র কোয়েলের ডিম বসানোর জন্যই ডিজাইন করা হয়। জাপানীজ কোয়েলের ডিম মুরগীর ডিম ফোটানোর জন্য ব্যবহৃত ইনকুবেটরে ফোটানো যেতে পারে তবে ডিম বসানোর ট্রেগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার। ডিমের মোটা অংশ সেটিং ট্রেতে বসানো উচিত। নিয়মমাফিক কোয়েলের ডিম প্রথম ১৫ দিন সেটিং ট্রেতে এবং পরবর্তী দিন হ্যাচিং ট্রেতে দিতে হবে। তাপমাত্রা ৯৮-১০১০ ফা এবং প্রথম ১৫ দিন ৫০-৬০% আর্দ্রতা এবং পরবর্তীতে ৬০-৭০% আর্দ্রতা রাখা বাঞ্ছনীয় (ইনকুবেটর নির্মাতার নির্দেশ অনুসারে) প্রতি থেকে ঘন্টা অন্তর ডিম ঘুরিয়ে (টার্নিং) দিতে হবে যাতে ভ্রূণ খোসার সাথে লেগে না যায়। ১৫তম দিনে ডিম সেটিং ট্রে থেকে হ্যাচিং ট্রেতে স্থানান্তর করতে হবে এবং ডিম ঘুরানো বন্ধ করতে হবে। ডিম থেকে বের হওয়া বাচ্চা ২৪-২৮ ঘন্টার মধ্যে ব্রুডার ঘরে স্থানান্তর করতে হবে।

কোয়েলের বাচ্চার ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা এবং যত্ন 
সদ্য ফুটন্ত কোয়েলের বাচ্চা খুবই ছোট থাকে। এক দিন বয়সের কোয়েলের বাচ্চার ওজন মাত্র - গ্রাম থাকে। তাই ঠান্ডা বা গরম কোনটাই তারা সহ্য করতে পারে না। এমতাবস্থায় কাঙ্খিত তাপমাত্রা এবং খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বজায় রাখতে হবে। সময় কোন রকম ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা বা কোন রকম ধকল হলে এর বিরূপ প্রভাব দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন এবং জীবনি শক্তির থাকার উপর পড়ে। বাচ্চাকে তাপ দেয়া বা ব্রুডিং সাধারণত দুই পদ্ধতিতে করা যায়। যেমনঃ খাঁচায় বা কেইজে ব্রুডিং এবং মেঝেতে ব্রুডিং। যে পদ্ধতিতেই তাপ দেয়া হোক না কেন তাপমাত্রার প্রয়োজনীয়তা একই রকম। প্রথম সপ্তাহে সাধারণত ৩৫০সে তাপমাত্রা দিয়ে ব্রুডিং আরম্ভ করা হয় এবং এই তাপমাত্রা প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে .৫০সে কমিয়ে নিম্নলিখিত মাত্রায় আনতে হবে।

উপরে যে তাপের উল্লেখ করা হলো তা হলো ব্রুডারের তাপমাত্রা। থার্মোমিটারের সাহায্যে সরাসরি এই তাপমাত্রা নিরূপণ করা যায়। তবে থার্মোমিটার ছাড়াও ব্রুডারের তাপ সঠিক হয়েছে কি না তা ব্রুডারের বাচ্চার অবস্থান দেখে বুঝা যায়। বাচ্চারা যদি বাল্বের কাছে জড়োসড়ো অবস্থায় থাকে তবে বুঝতে হবে তাপমাত্রা কম হয়েছে। আর যদি বাল্ব থেকে দূরে গিয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে তাপমাত্রা অধিক। অন্যদিকে বাচ্চাগুলো যদি চারিদিকে সমভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং স্বাভাবিক ঘুরাফেরাসহ খাদ্য পানি গ্রহণ করতে থাকে তবে বুঝতে হবে পরিমিত তাপমাত্রা আছে। বাংলাদেশে গরমের সময় দুই সপ্তাহ এবং শীতের সময় তিন চার সপ্তাহ কৃত্রিম উপায়ে তাপ দিতে হয়। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, দুই সপ্তাহ কেজে ব্রুডিং করে পরবর্তীতে মেঝেতে পালন করলে মৃত্যু হার অনেক কম হয় এবং বাচ্চার ওজন অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। কোয়েলের মৃত্যুহার নির্ভর করে এদের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার উপর। ব্রুডিংকালীন পর্যাপ্ত তাপ প্রদান করতে না পারলে বাচ্চার মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। কাজেই সময়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর বয়স্ক কোয়েলের মৃতু্যহার তুলনামূলকভাবে খুব কম।
ইনকুবেটরে বাচ্চা ফোটার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্রুডিং ঘরে এনে প্রথমে গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি এবং পরে খাদ্য দিতে হবে। খাদ্যের সাথে সাথে পর পর তিনদিন গ্লুকোজ পানি পান করতে দেয়া ভাল। তারপর এমবাভিট ডবি্লও এস পানির সঙ্গে তিন দিন সরবরাহ করতে হবে। প্রথম সপ্তাহ খবরের কাগজ বিছিয়ে তার উপর খাবার ছিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রতিদিন খবরের কাগজ পরিবর্তন করতে হবে। এক সপ্তাহ পর ছোট খাবার পাত্র বা ফ্লাট ট্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। পানির পাত্রে বাচ্চা যাতে পড়ে না যায় সেজন্য মার্বেল অথবা কয়েক টুকরা পাথর খন্ড পানির পাত্রে রাখতে হবে। সর্বদাই পরিষ্কার-পরিচছন্ন পানি সরবরাহ করতে হবে।
অন্যান্য পোল্ট্রির মত কোয়েলের জীবন চক্রকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ বাচ্চা, বাড়ন্ত এবং বয়স্ক। অনেকে আবার কোয়েলের জীবনচক্র সংক্ষিপ্ত বিধায় তাকে শুধু বাচ্চা এবং বয়স্ক এই দুইভাগে ভাগ করেন। স্বাভাবিকভাবে - সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চা বলা হয়। - সপ্তাহ বয়সের কোয়েলকে বাড়ন্ত এবং সপ্তাহের অধিক বয়সের কোয়েলকে বয়স্ক বলে। অধিকতর সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য এই অধ্যায়ের কোয়েলের জীবন চক্রকে দুই ভাগে যেমনঃ - সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা এবং তিন সপ্তাহের বেশি বয়েসের কোয়েলকে বয়স্ক কোয়েল বলে অভিহিত করা হয়েছে।

খাবার পাত্র 
বাচ্চা:ছোট কোয়েলের জন্য ফ্লাট ট্রে বা ছোট খাবার পাত্র দিতে হবে যেন খাবার খেতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়।                     **২৮টি বাচ্চার জন্য একটি খাবার পাত্র যার দৈর্ঘ্য ৫০৩ সেমি, প্রস্থ সেমি এবং উচ্চতা সেমি                      **৩৪ টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য একটি খাবার পাত্র যার দৈর্ঘ্য ৫৭ সেমি প্রস্থ ১০ সেমি এবং উচ্চতা সেমি  দিনে দুইবার যথা সকালে এবং বিকালে পরিষ্কার খাবার পাত্রে পিছু দৈনিক ২০-২৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। উল্লেখ্য প্রথম সপ্তাহ থেকে গ্রাম দিয়ে শুরু করে প্রতি সপ্তাহে গ্রাম করে বাড়িয়ে ২০-২৫ গ্রাম উঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য .২৫ থেকে . সেমি (/ থেকে ইঞ্চি) খাবার পাত্রের জায়গা দিতে হবে।

পানির পাত্র সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য . সেমি (/ ইঞ্চি) পানির পাত্রের জায়গা দিতে হবে। অটোমেটিক বা স্বাভাবিক যে কোনো রকম পানির পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি ৫০টি কোয়েলের জন্য একটি পানির পাত্র দেয়া উচিত।
অনেকে নিপেল ব্যবহার করে   ক্ষেত্রে প্রতি ৫টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১টি নিপল বা কাপ ড্রিংকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

আলোক ব্যবস্থাপনা কাঙ্খিত ডিম উৎপাদন এবং ডিমের উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য দৈনিক ১৪-১৮ ঘন্টা আলো প্রদান করা প্রয়োজন। শরৎকাল এবং শীতকালে দিনের আলোক দৈর্ঘ্য কম থাকে তাই কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা হয় পুং কোয়েল, যেগুলো প্রজনন কাজে এবং শুধুমাত্র মাংস উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলোর জন্য দৈনিক ঘন্টা আলোকই যথেষ্ট। প্রাকৃতিক আলোর সাথে কৃত্রিম আলোর সমন্বয় করে নিম্ন সারণী মোতাবেক আলো দিলে কাঙ্খিত ডিম উৎপাদন সম্ভব।

বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থাপনা
 
পুষ্টি 
বাচ্চা, বাড়ন্ত অথবা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত কোয়েলের স্ট্যান্ডার্ড রেশন বাজারে সহজলভ্য নয়। কোয়েলের রেশনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ স্টার্টার (- সপ্তাহ), বাড়ন্ত (- সপ্তাহ) এবং লেয়ার বা ব্রিডার ( সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়েলের প্রতিকেজি খাবারে ২৭% প্রোটিন এবং ২৮০০ কিলো ক্যালরী বিপাকীয় শক্তি) বাড়ন্ত কোয়েলে প্রতি কেজি খাবারে ২৩% প্রোটিন এবং ২৭০০ কিলোক্যালোরী বিপাকীয় শক্তি এবং লেয়ার কোয়েলের প্রতিকেজি খাবারে ২২-২৪% প্রোটিন এবং ২৭০০ কিলোক্যালোরী বিপাকীয় শক্তিতে ভাল ফল পাওয়া যায়। ডিম পাড়া কোয়েলে প্রতি কেজি খাবারে .-.% ক্যালসিয়াম থাকতে হবে। তবে গরমের সময় ডিমের উৎপাদন সঠিক রাখার জন্য .% ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজন হয়।

রোগ বালাই 
কোয়েলের রোগবালাই নেই বললেই চলে। সাধারণত কোনো ভ্যাকসিন অথবা কৃমিনাশক ঔষধ দেয়া হয় না। তবে বাচ্চা ফুটার প্রথম সপ্তাহ বেশ সংকটপূর্ণ। সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কোয়েলের বাচ্চার যত্ন নিতে হয়। বাচ্চা অবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে কোয়েলের বাচ্চা মারা যায়। তবে, বয়স্ক কোয়েলের মৃত্যুহার খুবই কম।

কোয়েল পালন উৎপাদনের দিক থেকে অধিক লাভজনক। অন্যান্য পোল্ট্রির তুলনায় কোয়েলের মাংস এবং ডিম গুণগতভাবে শ্রেষ্ঠ। কোয়েলের ডিমে কোলেস্টরলের পরিমাণ কম এবং আমিষ বেশি। একটি মুরগীর পরিবর্তে টি কোয়েল পালন করা যায়। অল্প জায়গায় বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় অল্প খরচে পারিবারিক পর্যায়ে অথবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে কোয়েল পালন দেশে পুষ্টি ঘাটতি দূরীকরণে এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

ব্রুডার নিউমোনিয়া আবহাওয়া  সাথে সাথে বাচ্চা কোয়েলের শরীরের সহনশীলতা কম হলে সেই পাখির মৃত্যু হতে পারে, যদি না ব্রুডারে থাকাকালীন তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যত্যয় হল্। তাই ব্রুডিং করার সময় অর্থাত প্রথম দুই সপ্তাহ বাচ্চা কোয়েলকে নজরে রাখতে হবে৷ এটি আসপারজিলাস ফিউমিগেটাস নামক ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়৷

রোগের লক্ষণ বাচ্চাপাখী ঝিমিয়ে পড়ে, দুর্বল হয়ে পড়ে, খাওয়া দাওয়াবন্ধ হয়ে যায়৷ জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে৷ চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে রস বেরোতে থাকে৷ এই রোগে মৃত্যুর হার শতকরা - ভাগ৷ কিন্তু আক্রান্তের হার শতকরা ৫০ ভাগ৷

চিকিৎসা:   গ্রাম ক্যালসিয়াম প্রোপিওনেট ১০০ কেজি খাবারের সাথে মেশাতে হবে৷ আন্টিবায়টিক খাওয়াতে হবে৷ পাশাপাশি প্রাণীচিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷

আলসারেটিভ কোয়েল ডিজিজের আর এক নাম আলসারেটিভ এনটারাইটিস৷ এটি কোয়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ৷

রোগের লক্ষণ পাতলা পায়খানা, রোগা হয়ে পরে, খিচুনি হযতে পারে, ক্ষুদ্রান্ত্রে বৃহদান্তে ঘা হয়ে যায়৷

চিকিত্সা আন্টিবায়টিক খাওয়াতে হবে৷ পাখী খুব বেশী মারা গেলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।





Dhaka –Kolkata –Digha-Sankharpur Delta-Kolkata- Dhaka

  Duration: 6 day 6 night  Tour Iteianary Day Activities Note / Enlisted Day 01 9:30PM   a...