হাঁস পালন
Ø
বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায়
অনেক বাড়িতেই হাঁস পালন
করতে খাকে
।
Ø
হাঁসের লালন-পালন
খরচ এতই কম
এবং ঝামেলা মুক্ত।
Ø
হাঁসের মাংস স্বাদের দিক
থেকে বেশ
আগান।
Ø
হাস রাতে ডিম
পারে
এবং ডিম আকারে বড়।
Ø
হাঁস পালন করলে
পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ
করার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের
সুযোগ সৃষ্টি হয়।
Ø
হাঁসের ডিমের চাহিদা
রয়েছে।
Ø
শহর এবং গ্রামে উভয বাণিজ্যিক ভিত্তিতে
হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। বসত বাড়িতে
হাঁস চাষ একটি সহজ
ও
খুবই লাভজনক কাজ।
Ø
বাড়ির গৃহিনী, বেকার এবং ছেলে-মেয়েরা
অল্প মূলধন নিয়ে ছোট
পরিসরে হাঁসের খামার স্থাপন
ও
পরিচালনা করতে পারে।
Ø পারিবারিক
এই
খামারে দেশি জাত ছাড়াও
উন্নত জাতের হাঁস পালন
করা যায়।
হাঁস পালনের উপকারিতা
Ø
হাঁস
হাওর-বিল, ডোবা-নালা ও
ধানের জমিতে নিজেরা
চরিয়ে খেতে পারে।
Ø
হাঁসের
প্রাকৃতিক খাবারের অভাব
হয় না।
Ø
হাঁসের
ডিম ও মাংস
প্রাণীজ আমিষের অন্যতম
উৎস।
Ø
হাঁসের
ডিম ও মাংস
বিক্রি করে পরিবারে বাড়তি
আয়ের সুযোগ সৃষ্টি
করা সম্ভব।
Ø
হাঁসের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বেশি এবং প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে
চলতে পারে।
Ø
হাঁস
ও মাছের চাষ
এক সাথে করা
যায়।
Ø
হাঁসের
বিষ্ঠা ভালোমানের জৈব
সার।
বাজার সম্ভাবনা
স্থানীয় বাজার
ছাড়াও বড় বড়
হাটে-বাজারে হাঁস
বিক্রি করা যায়।
হাঁস জবাই করে
পালক খসিয়ে বাজারে
বিক্রি করা যায়।
সম্পূর্ণ হাঁস বিক্রি
করা তুলনামূলক সহজ।
ডিম সরাসরি বাজারে
বিক্রি করা যায়।
হাঁসের জাত নির্বাচন
* দেশি হাঁস : নাগেশ্বরী, মাটি
হাঁস, সাদা হাঁস
ও রাজ হাঁস।
দেশি হাঁস তুলনামূলক আকারে
ছোট এবং ডিমও
কম দেয়।
* উন্নত হাঁস/ বিদেশী জাত: খাকি
ক্যাম্পবেল, চেরীভেলী, জিংডিং
হাঁস ও ইন্ডিয়ান রানার
ডিমের জন্য ভালো।
*খাকি
ক্যাম্পবেল ও চেরীভেলী বছরে
ভালো পরিবেশে ২৫০-৩৫০টি পর্যন্ত ডিম
দেয়।
সাদা পিকিং ভালো।
এরা বছরে ৮০-১২০টি ডিম
দেয়। এদের মাংস
বেশ সুস্বাদু।
হাঁসের
জাত না জানলে ব্যাবসা ভাল হবে না: হাঁস পালনের
ক্ষেত্রে যে কোন
একটি জাত বাছাই
করতে হবে। একই
খামারে একাধিক জাতের
হাঁস রাখা কিছুটা কঠিন কারণ বিবিন্ন রকমের যত্ন
নিতে হয়। তবে অসম্ভব নয়।
বেইজিন জাতের হাঁস
আদিবাস: এ জাতের হাঁসের আদিবাস উত্তরপূর্ব চীন দেশে। এই হাঁসের আর এক নাম পিকিং সোয়ান।
বৈশিষ্ট্যঃ
আদিবাস: এ জাতের হাঁসের আদিবাস উত্তরপূর্ব চীন দেশে। এই হাঁসের আর এক নাম পিকিং সোয়ান।
বৈশিষ্ট্যঃ
v দেহের
আকার বড়।
v রং
সাদা।
v ডিমে
সাদা।.
উপযোগীতাঃ মাংসের জন্য প্রসিদ্ধ কারণ একটি হাঁস চার মাসে প্রায় ৪/৫ কেজি এবং একটি হাঁসী সারে তিন/৪ কেজি ওজনের হয়ে থাকে।
বৎসরে গড়ে প্রায়
১৩০-১৫০ টি ডিম
পেতে পারি।
মাসকোভি জাতের হাঁস:
আদিবাস: এ জাতের হাঁসের আদি জন্মস্হান দক্ষিণ আমেরিকা।
বৈশিষ্ট্যঃ
আদিবাস: এ জাতের হাঁসের আদি জন্মস্হান দক্ষিণ আমেরিকা।
বৈশিষ্ট্যঃ
v দেহের আকার
বড়।
পালকের রং সাদা ও কলো বা মিশ্রণ ।
মাথায় লাল ঝুটি।
ডিমের রং সাদা।
পালকের রং সাদা ও কলো বা মিশ্রণ ।
মাথায় লাল ঝুটি।
ডিমের রং সাদা।
উপযোগীতাঃ এ জাতের
হাঁস মাংসের জন্য
প্রসিদ্ধ ।
প্রাপ্ত বয়স্ক (সারে চার মাস) একটি
নর হাঁস প্রায় ৫/৬
কেজি এবং একটি
মাদি হাঁস ৩/৪ কেজি
ওজনের হয়ে থাকে।
বৎসরে
প্রায় ১০০-১৩০ টি
ডিম দেয়।
খাকী ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস
বংস: এই হাঁসের আদিবাস ইংল্যান্ড এদর বিলেতি হাঁস নামেও পরিচিত।
বৈশিষ্ট্যঃ
বংস: এই হাঁসের আদিবাস ইংল্যান্ড এদর বিলেতি হাঁস নামেও পরিচিত।
বৈশিষ্ট্যঃ
v ঠোঁট নীলাভ/কালো-নীল
/কালো।
v পালকের রং
খাকী বিধায় খাকী
ক্যাম্পবেল নামকরণ করা
হয়েছে।
v ডিমের রং
সাদা।.
v আকারে
ছোট ।
উপযোগীতাঃ এক কথায় বলা যায়
শুধু ডিম-এর উদ্দেশ্যে এ
জাতের হাঁস পালন
করা হয়। বার্ষিক ডিম
উৎপাদন গড়ে ২৬০-
৩০০ টি। বয়ঃ
প্রাপ্তদের ওজন ২-
২.৫ কেজি
হয়ে থাকে। ১৫০ দিন বয়সে ডিম দযা শুরু করে
জিনডিং জাতের হাঁস
এদের আদিবাস চীন।
বৈশিষ্ট্যঃ
এদের আদিবাস চীন।
বৈশিষ্ট্যঃ
Ø ঠোঁট নীলাভ/হলদে।
Ø হাঁসীর পালকের
রং খাকীর মাঝে
কালো ফোটা এবং
হাঁসার কালো ও
সাদা মিশ্রিত।
Ø ডিমের রং
নীলাভ।
হাঁস পালন পদ্ধতি
সাধরণত: তিন
পদ্ধতিতে হাঁস পালন
করা হয়। যেমন
:
সম্পূর্ণ মুক্ত পদ্ধতি :
v এ পদ্ধতিতে প্রায় সারাদিন হাঁসকে মাঠের মধ্যে চরানো যায় অথবা বিলে ছেড়ে দেওয়া যায়।
v
রাতে ঘরে
রাখা হয়।
সম্পূর্ণ আবদ্ধ পদ্ধতি :
v এ পদ্ধতিতে দিন ও রাত হাঁসকে ঘরের
মধ্যে রাখতে হয়।
v ঘরের মধ্যেই ছোট আকারে পানি ও
খাদ্যের ব্যবস্থা থাকে।
অর্ধ আবদ্ধ-অর্ধমুক্ত পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে রাতে
হাঁস ঘরে রাখতে হয়।
দিনের বেলা কিছু
সময় ঘরে এবং
কিছু সময় প্রয়োজন বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতে
হয়। পানি ও
খাদ্য এমনভাবে ভাগ
করে দিতে হবে
যেন কিছু ঘরে
এবং কিছু বাইরে চরে
খেতে পারে।
ডিম ফোটানো: হাঁসীর বয়স
৬ মাস হবার
আগেই ডিম দিতে
পারে। একটি সাধারণ আকারের হাঁসী ১০-১৫টি ডিম
নিয়ে ৩০-৩৩
দিন তাপে বসতে
পারে। ফোটানোর জন্য
ডিম উর্বর কিনা
সেটা বাতি দিয়ে
দেখতে হবে। ডিমে
১৫ দিন তাপ
হলে পরীক্ষা করতে
হবে। অন্ধকারে আলো
জ্বালিয়ে অথবা টর্চলাইটের মাধ্যমে ডিম
পরীক্ষা করতে হবে।
ডিম উর্বর হলে
সূতার মত পেচানো জাল
দেখা যাবে। ডিম
অনুর্বর হলে তার
কুসুম পরিষ্কার দেখা
যাবে এবং কোন
ধরণের জাল বা
চিহ্ন দেখা যাবে
না।
Ø
হাঁসের বাচ্চা পালন
Ø হাঁসের বাচ্চাকে সবসময় উমে
ও টনটনা শুকনো স্থানে রাখতে হবে।
Ø হাঁসের বাচ্চাকে মাটির উপর
রাখলে ১-২
সপ্তাহ ধানের তুষ
বা কাটা খড়
দিতে হবে। পরবর্তী মেঝের উপর
বালি এবং ছাই
দিতে হবে।নতুন
বাচ্চাকে প্রথমে মিহি
খুদি, ভাত দিতে
হবে।
Ø কয়েকদিন গেলে
অন্যান্য খাদ্য যেমন
ছোট কোঁচো, শামুকের মাংস
কাটা এবং সবজির পাতা
ইত্যাদি দিতে হবে।
Ø কাক, বাজ পাখি, চিল, বিড়াল, কুকুর, বেজী ইত্যাদি আক্রমণ থেকে
রক্ষা করার জন্য
বেড়া বা ঝাপি
দিয়ে আটকিয়ে রাখতে হবে।
৫/৬ সপ্তাহ বয়স
হলে আর আটকাতে হবে
না।
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা পালন ও ব্যবস্থাপনা
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের বাচ্চার জাত
বাছাই করতে হবে।
ব্রুডার প্যান
1. হাঁসের ঘরকে
কয়েক প্যানে ভাগ
করে প্রতি প্যানে ১
ব্রুডার স্থাপন করতে
হবে।
2. ব্রুডারটির পরিধি প্রয়োজনে ছোট/বড় এবং
উপরে/নিচে নামানো/উঠানো যায়
সেই ব্যবস্থা করতে
হবে।
তাপ ব্যবস্থা
সাধারণত বাল্বের মাধ্যমে অথবা
গ্যাস দিয়ে ব্রুডারে তাপ
দিতে হবে। ব্রুডারের ভিতরের তাপ
ব্যবস্থা
বাইরে চরার
ব্যবস্থা থাকলে ২য়
সপ্তাহ পরে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক তাপমাত্রা বজায়
রাখলেই হবে।
মেঝের ধরণ ও পরিমাপ
1. মেঝে অবশ্যই পাকা
হতে হবে। তাছাড়া ইট
বা পাথর দিয়ে
শক্ত করে সমতল
রাখতে হবে।
2. বাচ্চার দৌড়াদৌড়ি ও
চরার জন্য বয়সানুযায়ী যে
পরিমাণ জায়গা লাগবে তা
নিচে উল্লেখ করা
হলো :
বয়স:
খাবার ও পানির ব্যবস্থা
১.
খাবার ও পানির পাত্র প্লাস্টিক ও
অ্যালুমিনিয়াম
দিয়ে তৈরি করতে
হবে।
২.
সুষম ও মানসমৃদ্ধ খাবার যেমন,
পিলেট অথবা গুড়ো
খাবার দিতে হবে।
পচা, বাসি ও
ছাতাধরা খাবার দেয়া
যাবে না।
৩.
খাবার পাত্রের মধ্যে অথবা
মেঝেতে ছিটিয়ে দিতে
হবে।
৪.
হাঁসের বাচ্চাকে পানির পাত্রে পরিষ্কার পানি
দিতে হবে।
|
No comments:
Post a Comment