বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান
জনসংখ্যার খাদ্য
নিরাপত্তা বিধানের
জন্য বহুমুখী
খাদ্য উৎপাদনের
প্রয়োজন।
আর এ
জন্য দরকার
নতুন নতুন
খাদ্য উৎপাদন
ও এর
সংযোজন।
Micro-livestock হিসাবে আখ্যায়িত
খরগোশ এমনি
একটি বহুমুখী
খাদ্য উৎপাদনের
উৎস।
এই লক্ষ্যে
বাংলাদেশ পশুসম্পদ
গবেষণা ইনস্টিটিউট
সাভার ঢাকা
দীর্ঘ ৭
বছর যাবৎ
খরগোশের লালন
পালন, খাদ্য,
বাসস্থান, বিভিনড়ব
রোগ-বালাই,
মাংসের গুণাগুণ
ইত্যাদি নিয়ে
গবেষণা করে
আসছে।
দীর্ঘ দিনের
গবেষণার ফলাফল
থেকে দেখা
গেছেঃ
আপনি কেন খরগোশ পালবেন ?
ক)
অল্প জায়গার প্রয়োজন হয় ।
অল্প জায়গার প্রয়োজন হয় ।
Ø
সাধারণ
ও স্বল্প খাদ্যেয
খরগোশ পালা যায়।
Ø
বিনিয়োগ খুব কম করেও
খরগোশ পালন
করা যায়।
Ø
কর্মসংস্থানের সুযোগ ।
খ)
খ)
v
খরগোশের মাংসের
প্রোটিন, এনার্জি,
খনিজ এবং
ভিটামিনের পরিমাণ
খুব বেশী।
v
সকল প্রজাতির
পশুর মধ্যে এদের মাংসে কোলেস্টেরল,
ফ্যাট ও
সোডিয়াম কম
থাকে।
v
এদের মাংস
সুস্বাদু ।
v
খুব
সহজে হজম হয় ।
v
যে কোন ধর্মের
মানুষের জন্য
গ্রহণযোগ্য।
v
নিম্নমানের খাবার
খেয়ে অধিক
পুষ্টিসম্পন্ন মাংস
উৎপাদন করে।
গ) খরগোশ অতি দ্রুত বর্ধনশীল ।
গ) খরগোশ অতি দ্রুত বর্ধনশীল ।
v
একটি স্ত্রী
খরগোশ প্রতিবারে
২-৫টি বাচ্চা
দেয়।
v
বছরে
৫-৭ বার পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে।
ঘ) খরগোস দেখতে খুব সুন্দর তাই বাড়ীর সোভা বর্ধণ করে।
ঙ) (খরগোশ পালন করবে কারা?) সকলে খরগোশ পালন করতে পারে যেমন,
ঘ) খরগোস দেখতে খুব সুন্দর তাই বাড়ীর সোভা বর্ধণ করে।
ঙ) (খরগোশ পালন করবে কারা?) সকলে খরগোশ পালন করতে পারে যেমন,
বেকার যুবক,
মহিলা ও গৃহিনী,
ভূমিহীন কৃষক,
ছাত্র,
কর্মজীবি।
চ)
দারিদ্র বিমোচন
এবং কর্মসংস্থানের
অন্যতম একটি
পেশা হতে
পারে খরগাশ পালন। ।
এসব কারণে
দেশে আমিষের
চাহিদা মেটানোর
পাশাপাশি রপতানী স্বাবলম্বী হওয়ায় এবং দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠনে সংশিষ্ট
সকলের খরগোশ
পালনের জন্য
এগিয়ে আসা
উচিত।
খরগোশকে এখন আর শুধু সৌখিন প্রাণী নয়। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। খরগোশের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
দেশে বাৎসরিক গোশতের চাহিদা প্রায় ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং উৎপাদিত হয় মাত্র ১ মিলিয়ন মেট্রিকটন। দেশের চাহিদার তুলনায় মোট আমিষের শতকরা ১৮ ভাগ আসে পশুসম্পদ থেকে যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগন্য। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খরগোশকে এখন আর শুধু সৌখিন প্রাণী নয়। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। খরগোশের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
দেশে বাৎসরিক গোশতের চাহিদা প্রায় ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং উৎপাদিত হয় মাত্র ১ মিলিয়ন মেট্রিকটন। দেশের চাহিদার তুলনায় মোট আমিষের শতকরা ১৮ ভাগ আসে পশুসম্পদ থেকে যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগন্য। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংস গ্রহণ করা প্রয়োজন অথচ সেখানে আমরা প্রতিদিন মাত্র ২০ গ্রাম মাংস গ্রহণ করে থাকি। এই তধ্যটি সরকারের কিন্তু আমি মনে করি এটা আর কম । এমনও মানুষ আছে যারা
মাসে কা তিন মাসে একবার মাংস খায় ।
এজন্য প্রাণীজ
আমিষের চাহিদা
মেটানোর লক্ষ্যে
নতুন সংযোজন
হিসাবে আমরা
খরগোশ প্রতিপালনের
বিষয়টি অধিক
সম্ভাবনাময় দিক
হিসাবে বিবেচনা
করতে পারি।
অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় খরগোশ পালন বরং সহজ। এদের খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ বিধায় বাড়ীর মহিলা ও ছেলে-মেয়েরা কাজের ফাঁকে সহজেই এদের পরিচর্যা করতে পারে।
খরগোশের প্রজাতি
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশ পাওয়া যায়।
** ডার্ক গ্রে (দেশী),
**ফক্স, ডাচ,
** নিউজিল্যান্ড লাল/ সাদা/ কালো,
**বেলজিয়াম সাদা এবং ছিনছিলা উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা মনে করে থাকি অল্প বয়স্ক খরগোশের মাংস বেশি বয়স্ক খরগোশের মাংসের তুলনায় উন্নত মানের হয়। আবার স্ত্রী খরগোশের মাংসের তুলনায় পুরুষ খরগোশের মাংস তুলনামূলক উন্নত মানের হয়ে থাকে। বয়স হলে মাংসে কোলেস্টেরল এবং লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। অন্য দিকে স্ত্রী খরগোশের মাংসে লিপিড, ফ্যাট এবং কোলস্টেরল এর পরিমাণ বেশি থাকে।
অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় খরগোশ পালন বরং সহজ। এদের খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ বিধায় বাড়ীর মহিলা ও ছেলে-মেয়েরা কাজের ফাঁকে সহজেই এদের পরিচর্যা করতে পারে।
খরগোশের প্রজাতি
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশ পাওয়া যায়।
** ডার্ক গ্রে (দেশী),
**ফক্স, ডাচ,
** নিউজিল্যান্ড লাল/ সাদা/ কালো,
**বেলজিয়াম সাদা এবং ছিনছিলা উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা মনে করে থাকি অল্প বয়স্ক খরগোশের মাংস বেশি বয়স্ক খরগোশের মাংসের তুলনায় উন্নত মানের হয়। আবার স্ত্রী খরগোশের মাংসের তুলনায় পুরুষ খরগোশের মাংস তুলনামূলক উন্নত মানের হয়ে থাকে। বয়স হলে মাংসে কোলেস্টেরল এবং লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। অন্য দিকে স্ত্রী খরগোশের মাংসে লিপিড, ফ্যাট এবং কোলস্টেরল এর পরিমাণ বেশি থাকে।
লিপিড
কি? (Laboratório de Estudos e Pesquisas em Ensino e Diferença= LEPED) I
found it from Google engine.
খরগোশ প্রতিপালনের পদ্ধতি
বাড়ীর আঙ্গিনা , উঠান বা বারান্দায় অল্প জায়গায় অথবা বাড়ীর ছাদে অল্প বিনিয়োগ করে ছোট আকারের বাসস্থান তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়।
তিনটি পদ্ধতিতে খরগোশ প্রতিপালন করা যায়ঃ
১) গভীর লিটার পদ্ধতি এই পদ্ধতিটি কম সংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য উপযোগী। মেঝেতে মাটি খুঁড়ে গর্ত বানানো বন্ধ করার জন্য মেঝে পাকা হওয়া উচিত। সেটা সম্ভব না হলে ইট বিয়ে তার উপর ৩/৪ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, গম বা ধানের খড় অথবা কাঠের গুড়া ইত্যাদি ছড়িয়ে দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে এক সাথে ৩০টার বেশি খরগোশ প্রতিপালন করা সমস্যার কারণ হতে পারে । পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখা উচিত। অবশ্য এভাবে প্রতিপালন করলে খরগোশ সহজে রোগাক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া খরগোশকে সামলানোও খুব অসুবিধা হয়।
আমাদের দেশে সাধারণত পরিবহনযোগ্য নেটের খাঁচা বা কাঠের বাক্স খরগোশ প্রতিপালনের জন্য ব্যবহার করা হয় যা খামারীরা দিনের বেলায় ঘরের বাইরে এবং রাতে ঘরের ভিতরে আনতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো কোনা এলাকাতে পুরুষ এবং স্ত্রী খরগোশ একত্রে রাখা হয় কিন্তু বাচ্চা দেবার পর বাচ্চাসহ স্ত্রী খরগোশকে আলাদা করে ফেলা হয়। আবার কোনো কোনো এলাকায় স্ত্রী এবং পুরুষ খরগোশকে সবসময় আলাদা রাখা হয়। কেবলমাত্র প্রজননের সময় পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের নিকট দেয়া হয়।
২) খাঁচা পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ প্রতিপালনের জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা অধিক উপযোগী। প্রতিটি তাকে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে খোপ তৈরি করতে হবে।
খাঁচাতে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা
ক) পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট
খ) পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘর সহ)
গ) বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট
পূর্ণবয়স্ক খরগোশের খাঁচা ১.৫ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ উঁচু হওয়া উচিত। এতে বাড়ন্ত দুইটি খরগোশ প্রতিপালন করা যাবে।
বড় আকারের খরগোশের জন্য ৩ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট খাঁচা উপযোগী। ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁশের বা পাকা ঘরে প্রায় ১৫০-২০০টি খরগোশ খাঁচায় লালন পালন করা যায়।
৩) মিশ্র খাঁচা পদ্ধতি:
এ পদ্ধতিতে দিনের বেশির ভাগ সময় খাচায় বা বিছানায় থাকে এবং দিনের কিছুটা সময় মুক্ত অবস্থায় ছেড়ে পালন । যাতে প্রকৃতি হতে পছন্দ মত খাবার খেতে পারে ।
খাদ্যে পরিমাণ বয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতিদিন ১৩০-১৪৫ গ্রাম, দুগ্ধবতী খরগোশের জন্য প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম ও বাড়ন্ত খরগোশের জন্য প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
খাদ্যের ধরণ
সবুজ শাক-সবজিঃ ঋতু ভিত্তিক সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলা, শশা, শাকের উচ্ছিষ্টাংশ, সবুজ ঘাস ইত্যাদি।
দানাদার খাদ্যঃ চাল, গম, ভুট্টা, তৈলবীজ ইত্যাদি। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য ব্রয়লার মুরগির জন্য প্রস্তুতকৃত খাদ্য খরগোশের রেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিচের চিত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশের খাদ্য তালিকা দেয়া হল:
অসুস্থ খরগোশের চোখ ফ্যাকাসে, কান খাড়া থাকে না, লোম শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়, খাদ্য ও পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে, দৌড়াদৌড়ি কম করে, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়।
দিলিপ সমদ্দার ব্লগ
এক কাঠা জায়গায় কমপক্ষে ১৩০টি খরগোশ পালন সম্ভব। সবুজ ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি, ভাত খেতে এরা খুব পছন্দ করে। খুব সহজেই যে কেউ খরগোশ পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ছয় মাস বয়সী ১০০টি স্ত্রী খরগোশের সঙ্গে ছয় মাস বয়সী ২৫-৩০টি পুরুষ খরগোশের মিলনের ফলে আড়াই কি তিন মাসে ৫০০-৬০০টি বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। একটি খরগোশ বছরে ৫ থেকে ৬টি বাচ্চা দেয়। ছয় মাস বয়সী প্রতিটি খরগোশের মূল্য ৩০০-৫০০ টাকা (ঢাকার বাজার দরে)। খরগোশ বাচ্চা প্রদানের পর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রসবকৃত বাচ্চাগুলো চলাফেরা করতে পারে। বাচ্চা প্রসবের সময় এরা অবশ্য নিরাপদ আশয় খোঁজে। কারণ বেজি, নেড়ি কুকুড়, বিড়াল, সাপ এদের জাতশত্রু।এসব প্রাণী যাতে এদের ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি বাচ্চা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। তখন এদের প্রতিটির মূল্য দাঁড়ায় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা (ঢাকার বাজার দরে)। ঢাকাসহ দেশের প্রসিদ্ধ শহরগুলোতে খরগোশ কেনাবেচা হয়।
খরগোশের মাংস গ্রহণের ধর্মীয় ব্যাখ্যা
খরগোশের মাংস মুসলমানদের জন্য হালাল। পবিত্র কুরআন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, খরগোশের মাংস খাওয়া মুসলমানদের জন্য যায়েজ।
সুরা মা’য়েদাহ্তে আল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের জন্য হারাম (অবৈধ) করা হয়েছে মরা পশু, রক্ত ও শুকরের মাংস।আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে উৎসর্গীকৃত পশু, গলাচেপে মারা জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু হারাম। যবেহ দ্বারা পবিত্র করা ছাড়া মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলী দেয়া পশুও হারাম (তৃতীয় রুকু সুরা মা’ য়েদাহ্)। বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ “হিদ্রায়া”তে উল্লেখ করা হয়েছে, খরগোশের গোস্ত খাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই।নবী করিম ছালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম তাঁর সামনে উপস্থাপিত খরগোশের ভুনা গোস্ত খেয়েছেন এবং তা খাওয়ার জন্য সাহাবায়ে কেরামকেও নির্দেশ দিয়েছেন।আর খরগোশ মুর্দাখোর ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয় (দুররুল মুখতার)।বিড়াল ও বকরীর ন্যায় কান বিশিষ্ট দুই প্রকার খরগোশের গোস্ত খাওয়া বৈধ (তালীফায়ে রাশিদিয়া-পৃষ্ঠা-৪৫০)।
নখ দিয়ে চিরে ফেড়ে খায় এ ধরনের জন্তু খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্বভাবতই এসব জন্তুর পায়ে লম্বা নখ দেখা যায় এবং খাওয়ার কাজে এরা নখযুক্ত পা ব্যবহার করে থাকে।খরগোশ এ জাতীয় জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয়। এরা তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এরা গাছে ওঠে এবং মাটি খোঁড়ে। তাই খরগোশের মাংস খাওয়ায় কোনো বাধাবিপত্তিও নেই।
দিলিপ সমদ্দা র ব্লগ
খরগোশ প্রতিপালনের পদ্ধতি
খরগোশ পালন |
বাড়ীর আঙ্গিনা , উঠান বা বারান্দায় অল্প জায়গায় অথবা বাড়ীর ছাদে অল্প বিনিয়োগ করে ছোট আকারের বাসস্থান তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়।
তিনটি পদ্ধতিতে খরগোশ প্রতিপালন করা যায়ঃ
১) গভীর লিটার পদ্ধতি এই পদ্ধতিটি কম সংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য উপযোগী। মেঝেতে মাটি খুঁড়ে গর্ত বানানো বন্ধ করার জন্য মেঝে পাকা হওয়া উচিত। সেটা সম্ভব না হলে ইট বিয়ে তার উপর ৩/৪ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, গম বা ধানের খড় অথবা কাঠের গুড়া ইত্যাদি ছড়িয়ে দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে এক সাথে ৩০টার বেশি খরগোশ প্রতিপালন করা সমস্যার কারণ হতে পারে । পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখা উচিত। অবশ্য এভাবে প্রতিপালন করলে খরগোশ সহজে রোগাক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া খরগোশকে সামলানোও খুব অসুবিধা হয়।
আমাদের দেশে সাধারণত পরিবহনযোগ্য নেটের খাঁচা বা কাঠের বাক্স খরগোশ প্রতিপালনের জন্য ব্যবহার করা হয় যা খামারীরা দিনের বেলায় ঘরের বাইরে এবং রাতে ঘরের ভিতরে আনতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো কোনা এলাকাতে পুরুষ এবং স্ত্রী খরগোশ একত্রে রাখা হয় কিন্তু বাচ্চা দেবার পর বাচ্চাসহ স্ত্রী খরগোশকে আলাদা করে ফেলা হয়। আবার কোনো কোনো এলাকায় স্ত্রী এবং পুরুষ খরগোশকে সবসময় আলাদা রাখা হয়। কেবলমাত্র প্রজননের সময় পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের নিকট দেয়া হয়।
২) খাঁচা পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ প্রতিপালনের জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা অধিক উপযোগী। প্রতিটি তাকে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে খোপ তৈরি করতে হবে।
rabbit sex |
খাঁচাতে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা
ক) পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট
খ) পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘর সহ)
গ) বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট
পূর্ণবয়স্ক খরগোশের খাঁচা ১.৫ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ উঁচু হওয়া উচিত। এতে বাড়ন্ত দুইটি খরগোশ প্রতিপালন করা যাবে।
বড় আকারের খরগোশের জন্য ৩ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট খাঁচা উপযোগী। ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁশের বা পাকা ঘরে প্রায় ১৫০-২০০টি খরগোশ খাঁচায় লালন পালন করা যায়।
৩) মিশ্র খাঁচা পদ্ধতি:
এ পদ্ধতিতে দিনের বেশির ভাগ সময় খাচায় বা বিছানায় থাকে এবং দিনের কিছুটা সময় মুক্ত অবস্থায় ছেড়ে পালন । যাতে প্রকৃতি হতে পছন্দ মত খাবার খেতে পারে ।
খাদ্য:
বয়স ও প্রজাতি ভেদে খরগোশের খাদ্য গ্রহণ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। একটি বয়স্ক খরগোশের খাদ্যে পুষ্টির জন্য ক্রুড প্রোটিন ১৭-১৮%, আঁশ ১৪%, খনিজ পদার্থ ৭% ও বিপাকীয় শক্তি ২৭০০ কিলোক্যালরী/ কেজি হওয়া প্রয়োজন।
খরগোশ পালন |
খাদ্যে পরিমাণ বয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতিদিন ১৩০-১৪৫ গ্রাম, দুগ্ধবতী খরগোশের জন্য প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম ও বাড়ন্ত খরগোশের জন্য প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
খাদ্যের ধরণ
সবুজ শাক-সবজিঃ ঋতু ভিত্তিক সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলা, শশা, শাকের উচ্ছিষ্টাংশ, সবুজ ঘাস ইত্যাদি।
দানাদার খাদ্যঃ চাল, গম, ভুট্টা, তৈলবীজ ইত্যাদি। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য ব্রয়লার মুরগির জন্য প্রস্তুতকৃত খাদ্য খরগোশের রেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিচের চিত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশের খাদ্য তালিকা দেয়া হল:
অসুস্থ খরগোশের চোখ ফ্যাকাসে, কান খাড়া থাকে না, লোম শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়, খাদ্য ও পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে, দৌড়াদৌড়ি কম করে, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়।
দিলিপ সমদ্দার ব্লগ
খরগোশ পালনে আর্থিক লাভ
কিছু দানাদার খাবার এবং বাড়ীর আশেপাশের ঘাস, লতা-পাতা এবং রানড়বা ঘরের উচ্ছিষ্টাংশ প্রদান করে পারিবারিকভিত্তিতে ২০টি খরগোশ প্রতিপালন করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে মাসিক ৬০০০.০০ টাকা আয় করা সম্ভব যা অন্য কোনো ভাবে সম্ভব নয়।এক কাঠা জায়গায় কমপক্ষে ১৩০টি খরগোশ পালন সম্ভব। সবুজ ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি, ভাত খেতে এরা খুব পছন্দ করে। খুব সহজেই যে কেউ খরগোশ পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ছয় মাস বয়সী ১০০টি স্ত্রী খরগোশের সঙ্গে ছয় মাস বয়সী ২৫-৩০টি পুরুষ খরগোশের মিলনের ফলে আড়াই কি তিন মাসে ৫০০-৬০০টি বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। একটি খরগোশ বছরে ৫ থেকে ৬টি বাচ্চা দেয়। ছয় মাস বয়সী প্রতিটি খরগোশের মূল্য ৩০০-৫০০ টাকা (ঢাকার বাজার দরে)। খরগোশ বাচ্চা প্রদানের পর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রসবকৃত বাচ্চাগুলো চলাফেরা করতে পারে। বাচ্চা প্রসবের সময় এরা অবশ্য নিরাপদ আশয় খোঁজে। কারণ বেজি, নেড়ি কুকুড়, বিড়াল, সাপ এদের জাতশত্রু।এসব প্রাণী যাতে এদের ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি বাচ্চা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। তখন এদের প্রতিটির মূল্য দাঁড়ায় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা (ঢাকার বাজার দরে)। ঢাকাসহ দেশের প্রসিদ্ধ শহরগুলোতে খরগোশ কেনাবেচা হয়।
খরগোশের মাংস গ্রহণের ধর্মীয় ব্যাখ্যা
খরগোশের মাংস মুসলমানদের জন্য হালাল। পবিত্র কুরআন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, খরগোশের মাংস খাওয়া মুসলমানদের জন্য যায়েজ।
সুরা মা’য়েদাহ্তে আল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের জন্য হারাম (অবৈধ) করা হয়েছে মরা পশু, রক্ত ও শুকরের মাংস।আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে উৎসর্গীকৃত পশু, গলাচেপে মারা জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু হারাম। যবেহ দ্বারা পবিত্র করা ছাড়া মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলী দেয়া পশুও হারাম (তৃতীয় রুকু সুরা মা’ য়েদাহ্)। বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ “হিদ্রায়া”তে উল্লেখ করা হয়েছে, খরগোশের গোস্ত খাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই।নবী করিম ছালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম তাঁর সামনে উপস্থাপিত খরগোশের ভুনা গোস্ত খেয়েছেন এবং তা খাওয়ার জন্য সাহাবায়ে কেরামকেও নির্দেশ দিয়েছেন।আর খরগোশ মুর্দাখোর ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয় (দুররুল মুখতার)।বিড়াল ও বকরীর ন্যায় কান বিশিষ্ট দুই প্রকার খরগোশের গোস্ত খাওয়া বৈধ (তালীফায়ে রাশিদিয়া-পৃষ্ঠা-৪৫০)।
নখ দিয়ে চিরে ফেড়ে খায় এ ধরনের জন্তু খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্বভাবতই এসব জন্তুর পায়ে লম্বা নখ দেখা যায় এবং খাওয়ার কাজে এরা নখযুক্ত পা ব্যবহার করে থাকে।খরগোশ এ জাতীয় জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয়। এরা তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এরা গাছে ওঠে এবং মাটি খোঁড়ে। তাই খরগোশের মাংস খাওয়ায় কোনো বাধাবিপত্তিও নেই।
দিলিপ সমদ্দা র ব্লগ
খরগোশ |
খরগোশের
রোগ
ও
প্রতিকার
মিক্সোমাটোসিস (Myxomatosis)
এটি খরগোশের একটি প্রাণনাশক রোগ৷ আঙ্গোরা, ফ্লেমিস রাবিট, জ্যাক রাবিট ইত্যাদি প্রজাতির খরগোশের এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশী৷ এই ভাইরাস পক্স ভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত৷ রোগগ্রস্ত অবস্থায় খরগোশের প্রজনন ঘটালে মুখ, নাক, ঠোঁট, কান, চোখের পাতা ইত্যাদি অঙ্গে ইডেমা হয়৷ কান দেহ থেকে ঝুলে পড়তে পারে৷ কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হয়৷
চিকিত্সা- এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই৷ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্সা করতে হয়৷ সেফালেক্সিন বা এনরোফ্লক্সাসিন জলের সাথে মিশিয়ে খরগোশকে খাওয়ানো যেতে পারে৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- অসুস্থ খরগোশকে মেরে ফেলে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে৷
ফর্মালিন বা ৩ শতাংশ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দিয়ে খরগোশের খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
প্রতিষেধক টীকা পাওয়া গেলে খরগোশকে টীকা দিতে হবে৷
সালমোনেল্লেসিস (Salmonellosis)
সালমোনেল্লা টাইফিমুরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ৷ এই রোগে খরগোশের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও পাতলা পায়খানা হয়৷ গর্ভবতী খরগোশের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই রোগে খরগোশের মৃত্যুহার অনেক বেশী৷
চিকিত্সা-এনরোফ্লক্সাসিন বা সেফালোক্সিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন নামক আন্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- খরগোশের খামার পরিষ্কার রাখতে হবে৷
দুষিত জল বা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে৷
মৃত খরগোশেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷
খরগোশের খামারটিকে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
চিকিত্সা- সালফাকুইনক্সালিন ডেরিভেটিভ এই রোগের খুব ভাল ঔষধ৷ খাদ্যে শতকরা ০.০২৫ ভাগ হিসাবে ও পানীয় জলের শতকরা ০.০৪ ভাগ হিসাবে এই ঔষধ খরগোশটিকে খাওয়ালে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়৷
ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিস (Intestinal Coccidiosis) আইমেরিয়া সিকিওলা, আইমেরিয়া ফ্লাভেসেনস, আইমেরিয়া ইন্টেসটিনালিস, আইমেরিয়া ইরেসিডুয়া, আইমেরিয়া ম্যাগনা, আইমেরিয়া মোডিয়া, আইমেরিয়া পারফোরানস, আইমেরিয় পিরিফর্মিস- এই আটটি প্রজাতির আইমেরিয়া ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিসের কারণ৷
লক্ষণ-এই রোগের প্রধান কয়েকটি লক্ষণ হল পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসবে, ক্ষুধামন্দাভাব, পেট ফুলে থাকবে এবং চকলেট রঙের মলত্যাগ করবে৷
দিলিপ সমদ্দার ব্লগ
এটি খরগোশের একটি প্রাণনাশক রোগ৷ আঙ্গোরা, ফ্লেমিস রাবিট, জ্যাক রাবিট ইত্যাদি প্রজাতির খরগোশের এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশী৷ এই ভাইরাস পক্স ভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত৷ রোগগ্রস্ত অবস্থায় খরগোশের প্রজনন ঘটালে মুখ, নাক, ঠোঁট, কান, চোখের পাতা ইত্যাদি অঙ্গে ইডেমা হয়৷ কান দেহ থেকে ঝুলে পড়তে পারে৷ কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হয়৷
চিকিত্সা- এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই৷ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্সা করতে হয়৷ সেফালেক্সিন বা এনরোফ্লক্সাসিন জলের সাথে মিশিয়ে খরগোশকে খাওয়ানো যেতে পারে৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- অসুস্থ খরগোশকে মেরে ফেলে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে৷
ফর্মালিন বা ৩ শতাংশ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দিয়ে খরগোশের খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
প্রতিষেধক টীকা পাওয়া গেলে খরগোশকে টীকা দিতে হবে৷
সালমোনেল্লেসিস (Salmonellosis)
সালমোনেল্লা টাইফিমুরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ৷ এই রোগে খরগোশের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও পাতলা পায়খানা হয়৷ গর্ভবতী খরগোশের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই রোগে খরগোশের মৃত্যুহার অনেক বেশী৷
চিকিত্সা-এনরোফ্লক্সাসিন বা সেফালোক্সিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন নামক আন্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- খরগোশের খামার পরিষ্কার রাখতে হবে৷
দুষিত জল বা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে৷
মৃত খরগোশেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷
খরগোশের খামারটিকে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
দিলিপ সমদ্দার ব্লগ
পরজীবী ঘটিত রোগ (Parasitic diseases) হেপাটিক কক্সিডিওসিস (Hepatic Scoliosis)
আইমেরিয়া স্টাইডি নামক পরজীবী এই রোগের কারণ৷ সাধারণত কম বয়স্ক খরগোশের এই রোগ হয়৷চিকিত্সা- সালফাকুইনক্সালিন ডেরিভেটিভ এই রোগের খুব ভাল ঔষধ৷ খাদ্যে শতকরা ০.০২৫ ভাগ হিসাবে ও পানীয় জলের শতকরা ০.০৪ ভাগ হিসাবে এই ঔষধ খরগোশটিকে খাওয়ালে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়৷
ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিস (Intestinal Coccidiosis) আইমেরিয়া সিকিওলা, আইমেরিয়া ফ্লাভেসেনস, আইমেরিয়া ইন্টেসটিনালিস, আইমেরিয়া ইরেসিডুয়া, আইমেরিয়া ম্যাগনা, আইমেরিয়া মোডিয়া, আইমেরিয়া পারফোরানস, আইমেরিয় পিরিফর্মিস- এই আটটি প্রজাতির আইমেরিয়া ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিসের কারণ৷
লক্ষণ-এই রোগের প্রধান কয়েকটি লক্ষণ হল পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসবে, ক্ষুধামন্দাভাব, পেট ফুলে থাকবে এবং চকলেট রঙের মলত্যাগ করবে৷
দিলিপ সমদ্দার ব্লগ
No comments:
Post a Comment